A+ A-

ভাগলপুরী বঙ কানেকশান – ২

প্রতাপ কলকাতার ছেলে। খাস ভবানীপুরে ওদের বাড়ি। বিয়ে করেছে বছরখানেক হয়ে গেল। ওর স্ত্রী নিভা ভাগলপুরের মেয়ে। এখন শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর সংসারের হেঁসেল ঠেলে ‘সাথ নিভাচ্ছে’।    নিভার আগ্রা যাওয়া হল না আর আগ্রা ‘ঘুমতে’ গিয়ে তাজমহল দেখাও হল না। কী আর করা যাবে, কপালে বেড়ানো না থাকলে তো কিছু করার…

Continue Reading...

সাঁওতাল শব্দের অর্থ অনুসন্ধানে

অভিমন্যুদার (অভিমন্যু মাহাত) পোস্ট থেকে জানলাম একটি ‘অভিনব বাংলা অভিধান’-এ সাঁওতাল জাতির পরিচয়ে বলা হয়েছে — ‘সাঁওতাল পরগনার আদিম অধিবাসী; অসভ্যজাতিবিশেষ।’ সবচেয়ে মজার কথা, এই অভিধানটির সম্পাদকমণ্ডলীতে আছেন ভাষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ ইত্যাদি প্রভৃতি পদাধিকারীরা! সত্যিই কী বিচিত্র ‘সভ্যগণ’ ও তাঁদের ‘সভ্যতা’! এবং ‘শব্দসঞ্চয়িতা’ নামক আরও একটা অভিধানে অনুরূপ…

Continue Reading...

মুরগি কথা

আমার মা উলটো। মুরগি পুষবে অথচ ডিম খাবে না। মাংস খাবে না। এই শখ করে মুরগি পোষা নিয়ে মাঝে মাঝে আমার রাগ হয়। আমাদের বাড়ির চারিদিকে গাছ। সামনে আমবাগান। তার দু’পাশে সারি সারি বাঁশবাগান। আর একটু পেরিয়ে সবুজ মাঠ। তবে আমাদের এলাকাটা মফস্বল। বাড়ি থেকে হাঁটা পথেই স্কুল, ব্যাঙ্ক, পোস্ট…

Continue Reading...

ভাগলপুরী বঙ কানেকশান – ১

রাত প্রায় এগারোটা। ডিনার সেরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে শুতে গেল। স্বামী প্রতাপ ঘোষ, ভবানীপুরের লোক। তার স্ত্রীর ভাষায় ‘খাস কলকাত্তাইয়া’। ওদিকে স্ত্রী নিভা প্রবাসী বাঙালি। বিহারের ভাগলপুরে মানুষ। জীবনে প্রথম কলকাতা দেখল এই বিয়ের পরে। গতমাসে ওদের বিয়ের একবছর হল। এই একবছরে সে অনেক নতুন জিনিস জেনেছে, অনেক কিছু নতুন শিখেছে।…

Continue Reading...

আমার ঝাড়গ্রাম (শেষ পর্ব)

মিশকালো কয়লার ইঞ্জিন, কাঠের বগি, ডায়মন্ডহারবার লোকালে ছেলেবেলায় পিসির বাড়ি বেড়াতে যেতাম। বারুইপুরের পরের স্টেশন কল্যাণপুর, সিঙ্গল লাইনে। স্টেশন থেকে বেরোলেই মন ভালো, অবারিত মাঠ, গগন ললাট। কত সবুজ। পিসির বাড়ি যাওয়ার দিন মানে মনে মনে পাখি হওয়ার দিন। ট্রেনে উঠেই জানালায় গিয়ে দাঁড়াতাম। পিছনে ছুটে যাওয়া দৃশ্যগুলি কখনও পুরনো…

Continue Reading...

‘People who are creative don’t die’

জুন ২২, ১৮৯৭ — প্রকাশচন্দ্র দেব রায়সাহেব উপাধিতে ভূষিত হলেন। রেসিডেন্স – শিলং, অসম। তখন শিলং অসমের অন্তর্গত ছিল। ই হ্যারিসন ১৮৯১-তে রিটায়ার করার পরে প্রকাশচন্দ্র অসম সেক্রেটারিয়েট (সিভিল)-এর প্রথম বাঙালি সুপারিটেন্ডেন্ট নিযুক্ত হন। ১৮৬৪-১৯১৫ অব্দি শিলংয়ের মূল উপনিবেশ ছিল নন-ট্রাইবালদের, মূলত বাঙালিদের। শিলং প্রকৃতপক্ষেই ব্রিটিশদের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজের একটা সুন্দর,…

Continue Reading...

আমার ঝাড়গ্রাম (১ম পর্ব)

নতুন জেলা হচ্ছে ঝাড়গ্রাম। চাকরি জীবনের সেরা দেড় বছর কাটিয়েছি জঙ্গলমহলের শহরে। লেকচারার, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ, জুলাই ১৯৯৬ থেকে ডিসেম্বর ১৯৯৭। প্রথম কলকাতা ছেড়ে একা বাইরে চাকরি করতে যাওয়া। কিন্তু একাকিত্ব গ্রাস করেনি কোনওদিন। যৌথ জীবনের এক আশ্চর্য পাঠ মিলেছিল ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে। যেমন শান্ত স্নিগ্ধ সবুজ শহর, তেমন…

Continue Reading...