A+ A-

শ্রীচ্যাটার্জির নিবৃত্তিবাসনা

প্রিয় পাঠক ও গুটিকয় পাঠিকা, গল্প লিখবার পূর্বেই এই ভয় আমাতে চাগিয়ে বসল যে, গল্পটিকে আপনারা হাসির গল্প বলে ভ্রম করবেন। সেই ভ্রম না করবার যথেষ্ট কারণ নেই, তা অস্বীকার করি না। বিশেষত মানুষের জীবনে উত্থান ও পতন সদাসর্বদাই অপরের হাসির কারণ হয়েছে। লেখক হিসেবে আমারও তেমন কোনও তেজঃরেত নেই…

Continue Reading...

খেলতে খেলতে

খেলতে খেলতে অদিতি ভট্টাচার্য্য প্রকাশক – হ য ব র ল মূল্য – ১৪৯ টাকা ছোটদের বই ছোটরা কি আর পড়ে? হ য ব র ল থেকে প্রকাশিত অদিতি ভট্টাচার্য্যর ‘খেলতে খেলতে’ পড়তে পড়তে এই বুড়ো বয়সেও নিজেকে ছোট মনে হচ্ছিল। বইটির প্রচ্ছদ, বাঁধাই, ছাপা মনকাড়া। আমি লেখিকাকে চিনি না।…

Continue Reading...

দুঃ

ওম! সন্ন্যাসী সুনির্মল মহারাজের ঠোঁট ফসকে শব্দ বেরোল। আরও খানিক চোখ বন্ধ রেখে তিনি আদি শব্দের গভীরতা অনুভব করার চেষ্টা করলেন। এক বিন্দু বিষণ্ণতা আর পুঞ্জীভূত প্রত্যয় তাঁর মনের শূন্য সরোবরকে পলকেই পরিপূর্ণ করে তুলল। তিনি চোখ মেলে তাকালেন। শিশুর মনের মতো নির্মল এক সকাল চাদরের মতো টানটান পাতা রয়েছে…

Continue Reading...

ভাগলপুরী বঙ কানেকশান – ১

রাত প্রায় এগারোটা। ডিনার সেরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে শুতে গেল। স্বামী প্রতাপ ঘোষ, ভবানীপুরের লোক। তার স্ত্রীর ভাষায় ‘খাস কলকাত্তাইয়া’। ওদিকে স্ত্রী নিভা প্রবাসী বাঙালি। বিহারের ভাগলপুরে মানুষ। জীবনে প্রথম কলকাতা দেখল এই বিয়ের পরে। গতমাসে ওদের বিয়ের একবছর হল। এই একবছরে সে অনেক নতুন জিনিস জেনেছে, অনেক কিছু নতুন শিখেছে।…

Continue Reading...

আমার ঝাড়গ্রাম (শেষ পর্ব)

মিশকালো কয়লার ইঞ্জিন, কাঠের বগি, ডায়মন্ডহারবার লোকালে ছেলেবেলায় পিসির বাড়ি বেড়াতে যেতাম। বারুইপুরের পরের স্টেশন কল্যাণপুর, সিঙ্গল লাইনে। স্টেশন থেকে বেরোলেই মন ভালো, অবারিত মাঠ, গগন ললাট। কত সবুজ। পিসির বাড়ি যাওয়ার দিন মানে মনে মনে পাখি হওয়ার দিন। ট্রেনে উঠেই জানালায় গিয়ে দাঁড়াতাম। পিছনে ছুটে যাওয়া দৃশ্যগুলি কখনও পুরনো…

Continue Reading...

ঝুঁকির টানে

তোমার     খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে     টুকরো করে কাছি আমি     ডুবতে রাজি আছি আমি ডুবতে রাজি আছি॥ বুধবারের দুপুরগুলো বিকেলে গড়ায় কফি হাউসে বসে কলেজবেলার মতো সংসারবিমুখ আলোচনায়। মাথাপিছু দু’কাপ ইনফিউসন আর দল বেঁধে দু’প্লেট পকোড়া নিলে দুপুরের ফাঁকা বেলাতে কেউ চেয়ার ছাড়ার তাগাদা দেয় না। হয়তো সাহসও…

Continue Reading...

বুলন্দ দরওয়াজা

এভাবেই রাস্তা থেকে সে বেপাত্তা হয়ে গেল। এসব যদিও পুরোনো প্ল্যান সব। দিদা বলত একলষেঁড়ে, যখন-তখন পিঁপড়েদের সাথে সারাদুপুর ছাদে পড়ে থাকত; জলে ছেড়ে দিত পা-টা ছিঁড়ে। আসলে ভাই-বেরাদর বিশেষ একটা ছিল না তো, তাই। এমনকী পোষা-পুষিও বারণ ছিল। বাবার ঠাকুমা কবে বলে গেছিলেন, জন্তু-জানোয়ার না পোষার ব্যাপারে। মামারা যখন…

Continue Reading...

‘People who are creative don’t die’

জুন ২২, ১৮৯৭ — প্রকাশচন্দ্র দেব রায়সাহেব উপাধিতে ভূষিত হলেন। রেসিডেন্স – শিলং, অসম। তখন শিলং অসমের অন্তর্গত ছিল। ই হ্যারিসন ১৮৯১-তে রিটায়ার করার পরে প্রকাশচন্দ্র অসম সেক্রেটারিয়েট (সিভিল)-এর প্রথম বাঙালি সুপারিটেন্ডেন্ট নিযুক্ত হন। ১৮৬৪-১৯১৫ অব্দি শিলংয়ের মূল উপনিবেশ ছিল নন-ট্রাইবালদের, মূলত বাঙালিদের। শিলং প্রকৃতপক্ষেই ব্রিটিশদের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজের একটা সুন্দর,…

Continue Reading...

আমার ঝাড়গ্রাম (১ম পর্ব)

নতুন জেলা হচ্ছে ঝাড়গ্রাম। চাকরি জীবনের সেরা দেড় বছর কাটিয়েছি জঙ্গলমহলের শহরে। লেকচারার, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ, জুলাই ১৯৯৬ থেকে ডিসেম্বর ১৯৯৭। প্রথম কলকাতা ছেড়ে একা বাইরে চাকরি করতে যাওয়া। কিন্তু একাকিত্ব গ্রাস করেনি কোনওদিন। যৌথ জীবনের এক আশ্চর্য পাঠ মিলেছিল ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে। যেমন শান্ত স্নিগ্ধ সবুজ শহর, তেমন…

Continue Reading...

পেনেটির সেই রাত

“খিদিরপুরের কাছে নাকি আবার মহারাজা নন্দকুমারকে দেখা গেছে।” কাগজটা মুড়ে রাখতে রাখতে জানালেন শ্যামলকৃষ্ণ। “কেন গুলিখোরদের লেখাগুলো পড়ে অনর্থক সময় নষ্ট করেন বলুন তো?” সুধীন ভ্রূ কোঁচকালেন। “তা বললে চলবে কেন দাদা? মহারাজা যে ঘোড়ার গাড়ি করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সে খবর বেরোনোর পর কাগজওলাদের বিক্রিবাটা বেড়ে গেছে রীতিমতন।” সত্যেন খুব…

Continue Reading...